খুব সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে বলতে হয় যে, পডকাস্ট হলো
ওয়েব সাইটের অডিও কনটেন্ট।
এখান আবার অনেকেই হয়তো ভাবছেন- ওয়েব সাইট বুঝি, অডিও বুঝি,
কিন্তু কনটেন্ট আবার কী?
আপনি যেহেতু আমার এই পোষ্ট পড়তেছেন যেহেতু অবশ্যই অয়েব
সাইট চেনেন। আর ওয়েব সাইটে যা কিছুদেখেন তাই কনটেন্ট। আমার এই পোষ্টটিও একটি কনটেন্ট।
একটি ওয়েব সাইটে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট থাকতে পারে। যেমন
টেক্সট, ছবি, অডিও এবং ভিডিও কনটেন্ট।
এখন আবার পডকাস্ট এ ফিরে যাই।
তাহলে পডকাস্ট হলো ওয়েবসাইটের অডিও কনটেন্ট।
এখন আবার একটু দাদাদের যুগে ফিরে যাই।
দাদারা আগে রেডিও শুনতো । বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান
সম্প্রচারিত হতো। খবর, শিক্ষা মূলক অনুষ্ঠান, গান প্রভৃতি।
আমাদের যুগে যেমন এফএম রেডিও ।
পডকাস্ট কিছুটা রেডিওর মতো। কিন্তু পডকাস্টের অনেক সুবিধা আছে যা রেডিওতে নাই।
অর্গানাইজার বা যে পডকাস্ট তৈরি করবে তার সুবিধা সমূহ:
১। ব্যয়বহুল স্টুডিও দরকার নেই।
২। নিজে নিজেই করা যায়।
যখন ইচ্ছে তখন পডকাস্ট বানানো যায়।
শ্রোতাদের জন্য সুবিধা সমুহ:
১। নিজের ইচ্ছে মতো পডকাস্ট শুনা যায়।
২। কোন অনুষ্ঠানের জন্য ধরনা ধরে বসে থাকতে হয়না।
৩। অডিও কনটেন্ট তাই এমবি কম লাগে।
এছাড়াও আরও অনেক সুবিধা থাকতে পারে।
তাহলে পডকাস্ট হলো কোন বিষয়ের উপর ধারাবাহিক অডিও কনটেন্ট
কোন ওয়েব সাইটের মাধ্যমে সম্প্রচার করা। শ্রোতা
এটি সরাসরি বা ডাউনলোড করে শুনতে পারে।
অনেক সময় পডকাস্টকে ভিডিও ফরমেটেও তৈরি করা হয়। তখন একে
ভিডিও পডকাস্ট, ভডকাস্ট বা ভ্লগস বলে।
আমি এখন পডবিন ওয়েবসাইট থেকে পডকাস্ট শুনতেছি। আমি এখন
কমেডি পডকাস্ট শুনতেছি। কিন্তু আমি চাইলেই এখন অন্য পডকাস্ট শুনতে পারব । এখানে বিভিন্ন
কেটাগরির পডকাস্ট আছে।
আমি আবার পছন্দ শুনতে পারব বা ডাউনলোড করে নিতে পারব।
যা রেডিও এর ক্ষেত্রে সম্ভব না।
আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
কিছু না বুঝতে পারলে কমেন্ট করে জানান।
0 Comments