ছবি: চলন বিল। PC: vromonguide.com |
নাটোর শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার উত্তরে দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি তথা উত্তরা গণভবন অবস্থিত। রাজা রামকান্ত নাথের স্ত্রী রাণী ভবানী তার নায়েব দয়ারামের উপর সন্তুষ্ট হয়ে দিঘাপতিয়া পরগনা দান করেন। উল্লেখ্য যে, রাজা রামজীবন মারা যাওয়ার পর দয়ারাম রাজা রামকান্ত নাথের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেছিলেন এবং নাটোর রাজ্যের রাজকার্য পরিচালনা করতেন।
রাজা দয়ারাম ই ছিলেন দিঘাপতিয়া রাজবাড়ির প্রতিষ্ঠাতা যা এখন উত্তর গণভবন নামে পরিচিত।
১৯৫২ সালে জমিদারী প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর দিঘাপতিয়ার শেষ রাজা প্রতিভানাথ স্বপরিবারে রাজপ্রাসাদ ত্যাগ করে কলকাতা চলে যায় ।
১৯৬৬ সালে প্রাসাদটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসলে এর নামকরণ করা হয় গভর্নর হাউজ। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর
১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটিকে উত্তরা গণভবন নামে ঘোষনা করেন। এটি বর্তমানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর উত্তরাঞ্চলীয় বাসভবন হিসেবে খ্যাত।
ঐতিহাসিক দের মতে নাটোর রাজ বংশের উৎপত্তি হয় অষ্টাদশ শতকের দিকে এবং রাজা রাম জীবন ছিলেন এই রাজ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ।
নাটোর রাজবাড়ী |
রাজা রামজীবন মৃত্যুর পূর্বে তার পুত্র রামকান্ত নাথকে রাজা এবং দেওয়ান দয়ারামকে তার অভিভাবক নিযুক্ত করেন। রাজা রামকান্ত মারা যাওয়ার পর জমিদারী পরিচালনার দ্বায়িত নেন তার স্ত্রীর রাণী ভবানী। নাটোরে ইতিহাসে তিনি জন হিতৈশী মহারাণী হিসেবে খ্যাত এবং আজও তারা স্মৃতি অম্লান হয়ে আছে।
১৯৭৩ সালে নাটোরের বিশিষ্ট নাট্যকার, গল্পকার, উপন্যাসিক এবং শিক্ষাবিদ জনাব শফিউদ্দিন সর্দার এর প্রচেষ্টার নাটোর শহরের প্রাণকেন্দ্রে রাণী ভবানীর নামে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় যার নাম "রাণী ভবানী সরকারী মহিলা কলেজ"
নাটোর জেলার সম্পর্কে আরো জানতে সাথেই থাকুন....
0 Comments