বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন এবং উহার প্রকারভেদ

ছবি: বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন 
ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমে সাব-স্টেশন একটি গুরুতর সেক্টর। সাব-স্টেশন বা ইলেকট্রিক্যাল সাব-স্টেশন কে বাংলায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বলা হয়। এখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয় না বরং বিদ্যুতের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য যেমন ভোল্টেজ পরিবর্তন, ফ্রিকুয়েন্সি পরিবর্তন, পাওয়ার ফ্যাক্টর কারেকশন, এসি টু ডিসি কনভার্ট প্রভৃতি পরিবর্তন করা হয়। 

বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলো সাধারণত গ্রাহকদের থেকে অনেক দূরে অবস্থিত হয়ে থাকে। তাই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎকে ট্রান্সমিশন করার জন্য উচ্চ ভোল্টেজে রূপান্তর করা হয় । ভোল্টেজ পরিবর্তন এর কাজ যেই সকল সরঞ্জামাদি দিয়ে করা হয় তাদের একত্রে সাব-স্টেশন বলে। আবার গ্রাহকদের কাছাকাছি এসেও উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুত কে নিম্ন ভোল্টেজে পরিবর্তন করতে হয়। এই কাজের জন্যও সাব-স্টেশন প্রয়োজন। মোটকথা, ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমে সাব-স্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাব-স্টেশন এর দক্ষতার উপর পুরো সিস্টেমের দক্ষতা নির্ভরশীল। 

সাব-স্টেশন এর প্রকারভেদ: 
ইলেকট্রিক্যাল সাব-স্টেশনকে প্রধানত দুইটি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। 
1। সার্ভিসের উপর  এবং 2। গঠনগত বৈশিষ্ট্যের উপর। 

সার্ভিসের উপর ভিত্তি করে সাব-স্টেশনকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
1। ট্রান্সফর্মার সাব-স্টেশন। এই ধরণের সাব-স্টেশনে ভোল্টেজ লেভেল  প্রয়োজন অনুসারে কম বা বেশি করা হয়। ট্রান্সফর্মার হচ্ছে এই ধরণের সাব-স্টেশন এর প্রধান উপাদান। 

2। সুইচিং সাব-স্টেশন।  এই ধরণের সাব-স্টেশন এর মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক পাওয়ার লাইনকে সুইচিং করা হয়। 

3। পাওয়ার ফ্যাক্টর কানেকশন সাব-স্টেশন। পাওয়ার ফ্যাক্টর উন্নিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

4। কনভার্টিং সাব-স্টেশন।  এসি টু ডিসি কনভার্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয়। 

5। ফ্রিকুয়েন্সী চেঞ্জার সাব-স্টেশন। 

6। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাব-স্টেশন।  

আবার গঠনগত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ট্রান্সফর্মার এর প্রকারভেদ হলো-
1। ইন্ডোর সাব-স্টেশন 
2। আউটডোর সাব-স্টেশন। 
3। আন্ডারগ্রাউনড সাব-স্টেশন 
4। পোল-মাউন্টেড সাব-স্টেশন। 

ট্রান্সফর্মার সাব-স্টেশন আবার কয়েক ধরনের। যথা 
1। স্টেপ আপ সাব-স্টেশন 
2। প্রাইমারী গ্রিড সাব-স্টেশন।
3। সেকেন্ডারী সাব-স্টেশন। 
4 ডিস্ট্রিবিউশন সাব-স্টেশন।

Post a Comment

0 Comments